
Sign up to save your podcasts
Or
সিংহাসনে না বসেও সাম্রাজ্যের প্রতিটা দিকে নজর ছিল রানির। স্বামীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চালাতে থাকেন রাজ্য শাসনের কাজ। বাংলায় তখন বহিরাগত শত্রুর আক্রমণ চলছে। সেই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে সাম্রাজ্যের সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকে বিশেষ নজর দেন ভবশঙ্করী। শুধু পুরোনো দুর্গগুলোর সংস্করণই নয় ভুরিশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক সামরিক দুর্গের নির্মাণ করা হয় তাঁরই নির্দেশে।
.
.
১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে এই ত্রিবেণীর যুদ্ধে ভুরিশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্য ও মুকুন্দদেবের মিলিত সেনাবাহিনী গৌড়ের সুলতান সুলেমান কারীকে পরাজিত করে। যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন রুদ্রনারায়ণের ভাই এবং মুকুন্দদেবের সেনাপতি রাজীবলোচন রায়। এই রাজীবনলোচন রায়ই ইতিহাসে ‘কালাপাহাড়’ নামে বিখ্যাত অথবা কুখ্যাত। যুদ্ধে জয়লাভ করার ফলে সপ্তগ্রামের নিয়ন্ত্রণ আসে মহারাজ রুদ্রনারায়ণের হাতে। এরপরই গঙ্গার তীরে গজগিরিতে ত্রিবেণীর একটি ঘাটে একটি মন্দির নির্মাণ করা হয় তাঁর নির্দেশে।
সুলেমানের মৃত্যুর পরে তাঁর পুত্র দাউদ খান হন গৌড়ের নতুন শাসক। তিনি বেশ বুঝতে পারেন এই শক্তিশালী ভুরিশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যকে তিনি তো কোনোমতেই দখল করতে পারবেন না, বরং যদি মোঘলদের হাত থেকে বাঁচতে হয় তবে এই সাম্রাজ্যের সাহায্য তাঁর প্রয়োজন। যথারীতি মোঘলদের পরাজিত করার জন্যে রাজা রুদ্রনারায়ণের সাহায্য চান দাউদ খান। কিন্তু রুদ্রনারায়ণ এই প্রস্তাবে রাজি হন না। রাগের বশবর্তী হয়ে দাউদ খান তাঁর সেনাপতি কলটু খানকে ভুরিশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্য আক্রমণের নির্দেশ দেন। কিন্তু সে চেষ্টা বৃথা যায়। রাজা রুদ্রনারায়ণের সেনাবাহিনী কলটু খানের সেনাকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে এবং কলটু খানকে হত্যা করে। এই যুদ্ধে বিশাল সংখক পাঠান সেনারও মৃত্যু হয়। যার ফলস্বরূপ বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল মুসলিম শাসনমুক্ত হয়।
.
.
ইতিহাসের পাতায় যতবার নারী শাসকদের উত্থান ঘটেছে ততবার অন্তর্ঘাত আর বিশ্বাসঘাতকতা এসেছে তাঁর নিজের সভাসদদের থেকেই। রানীও নিজের অজান্তে এক বিশ্বাসঘাতকের হাতেই রাজ্যভার দিয়ে এসেছিলেন।
গল্প পাঠে - মৌটুসি মৈত্র
রানি ভবশঙ্করী- বর্ণিশা ভট্টাচার্য
বিভিন্ন পুরুষ চরিত্রে- শঙ্খ বিশ্বাস
সাউন্ড ডিজাইন- শঙ্খ বিশ্বাস।
মূল গল্প- অমৃত কোনার।
স্ক্রিপ্ট- কৌশিক রায়।
কভার- শুভজিৎ ভড় ।
সিংহাসনে না বসেও সাম্রাজ্যের প্রতিটা দিকে নজর ছিল রানির। স্বামীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চালাতে থাকেন রাজ্য শাসনের কাজ। বাংলায় তখন বহিরাগত শত্রুর আক্রমণ চলছে। সেই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে সাম্রাজ্যের সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকে বিশেষ নজর দেন ভবশঙ্করী। শুধু পুরোনো দুর্গগুলোর সংস্করণই নয় ভুরিশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক সামরিক দুর্গের নির্মাণ করা হয় তাঁরই নির্দেশে।
.
.
১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে এই ত্রিবেণীর যুদ্ধে ভুরিশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্য ও মুকুন্দদেবের মিলিত সেনাবাহিনী গৌড়ের সুলতান সুলেমান কারীকে পরাজিত করে। যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন রুদ্রনারায়ণের ভাই এবং মুকুন্দদেবের সেনাপতি রাজীবলোচন রায়। এই রাজীবনলোচন রায়ই ইতিহাসে ‘কালাপাহাড়’ নামে বিখ্যাত অথবা কুখ্যাত। যুদ্ধে জয়লাভ করার ফলে সপ্তগ্রামের নিয়ন্ত্রণ আসে মহারাজ রুদ্রনারায়ণের হাতে। এরপরই গঙ্গার তীরে গজগিরিতে ত্রিবেণীর একটি ঘাটে একটি মন্দির নির্মাণ করা হয় তাঁর নির্দেশে।
সুলেমানের মৃত্যুর পরে তাঁর পুত্র দাউদ খান হন গৌড়ের নতুন শাসক। তিনি বেশ বুঝতে পারেন এই শক্তিশালী ভুরিশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যকে তিনি তো কোনোমতেই দখল করতে পারবেন না, বরং যদি মোঘলদের হাত থেকে বাঁচতে হয় তবে এই সাম্রাজ্যের সাহায্য তাঁর প্রয়োজন। যথারীতি মোঘলদের পরাজিত করার জন্যে রাজা রুদ্রনারায়ণের সাহায্য চান দাউদ খান। কিন্তু রুদ্রনারায়ণ এই প্রস্তাবে রাজি হন না। রাগের বশবর্তী হয়ে দাউদ খান তাঁর সেনাপতি কলটু খানকে ভুরিশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্য আক্রমণের নির্দেশ দেন। কিন্তু সে চেষ্টা বৃথা যায়। রাজা রুদ্রনারায়ণের সেনাবাহিনী কলটু খানের সেনাকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে এবং কলটু খানকে হত্যা করে। এই যুদ্ধে বিশাল সংখক পাঠান সেনারও মৃত্যু হয়। যার ফলস্বরূপ বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল মুসলিম শাসনমুক্ত হয়।
.
.
ইতিহাসের পাতায় যতবার নারী শাসকদের উত্থান ঘটেছে ততবার অন্তর্ঘাত আর বিশ্বাসঘাতকতা এসেছে তাঁর নিজের সভাসদদের থেকেই। রানীও নিজের অজান্তে এক বিশ্বাসঘাতকের হাতেই রাজ্যভার দিয়ে এসেছিলেন।
গল্প পাঠে - মৌটুসি মৈত্র
রানি ভবশঙ্করী- বর্ণিশা ভট্টাচার্য
বিভিন্ন পুরুষ চরিত্রে- শঙ্খ বিশ্বাস
সাউন্ড ডিজাইন- শঙ্খ বিশ্বাস।
মূল গল্প- অমৃত কোনার।
স্ক্রিপ্ট- কৌশিক রায়।
কভার- শুভজিৎ ভড় ।