Clock Tower

একজন পিতা কি নিজের মেয়েকেই ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালে ব্যবহার করতে পারেন?


Listen Later

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পৃথিবী জুড়ে মহামারী ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন নতুন ভাইরাস, নতুন নতুন রোগ। আর এই সব কিছুর মধ্যে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুরা। তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেকোনো ভাইরাসের আক্রমণে তাদের জীবনহানি যে স্বাভাবিক জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছিল। যাদের এই সমস্ত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ হত, একমাত্র তাদের জন্য সুস্থ হওয়ার কামনা করা ছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞানের আর কিছুই করার ছিল না। সেই সময় একজন বিজ্ঞানী ভ্যাকসিন বানানোর প্রচেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি নিজে প্রায় কুড়িটি বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় জীবন কাটিয়েছেন। সফল হননি প্রত্যেকবার, তবে তারপরেও তাঁর মতো চূড়ান্ত সাফল্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে হাতে গোনা কয়েকজনই লাভ করেছেন। কম করে হলেও নয়টি মারণ রোগের ভ্যাকসিন তাঁর হাতেই তৈরি।

.
.
“হে ভগবান! মামস্‌ হয়েছে।” আজকালকার দিনে ব্যাপারটা যতটা স্বাভাবিকভাবে নেওয়া যায়, আগে তেমনটা ছিল না । মামস্‌ ব্রেন ও স্পাইনাল কর্ডে সংক্রমণ ঘটিয়ে শিশুদের সারাজীবনের জন্য বধির ও পঙ্গু করে দিতে পারে। এছাড়া প্যানক্রিয়াসে সংক্রমণ ঘটিয়ে ডায়াবেটিস ঘটাতে পারে। আর সবশেষে মৃত্যুর একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। অর্থাৎ ব্যাপারটা এমন যে তিনি ভালো মতোই বুঝতে পারছেন যে, যদি তাঁর মেয়ে নিজে থেকে সুস্থ হয়ে যায় খুব ভালো। না হলে, ভাইরাসের কারণে জের-লিনের হয়তো বড় কোনও ক্ষতি হতে পারে বা তিনি মেয়েকে হারাতেও পারেন।
এরপরে মরিস যেটা করলেন সেটা বোধহয় আর পাঁচটা সাধারণ পিতার পক্ষে সম্ভব নয়। তারপর...
পর্বপাঠ- কৌশিক রায়
সাউন্ড ডিজাইন- শঙ্খ
স্ক্রিপ্ট- কৌশিক রায়
কভার ও ভিএফএক্স- ইনভিজিবলম্যান।

...more
View all episodesView all episodes
Download on the App Store

Clock TowerBy Kaushik Roy