
Sign up to save your podcasts
Or
পাণ্ডবরা যখন বনপর্বে যখন রাজ্য হারিয়ে বনে বনে ঘুরছেন, তখন এক ঋষি যুধিষ্ঠির ও ভীমকে জানান, পাশা খেলে রাজ্যপাট হারানোর ব্যাপারে তাঁরাই একমাত্র নন। আছেন আরও একজন। এই বলে তিনি রাজা নল ও দময়ন্তীর কাহিনি শুরু করেন। রাজা নল দময়ন্তীর রূপের কথা নারদের কাছে শুনে তাঁর প্রেমে পড়েন। সব সময় তাঁর কথা চিন্তা করতে থাকেন। একদিন তিনি বনে শিকার করতে গিয়ে একটি সোনার রাজহাঁস দেখতে পান। সেটাকে শিকার করার আগেই হাঁসটি রাজাকে বলে, "আমাকে হত্যা করবেন না। আমার পরিবার আছে। বরং আপনি যা চান আমি সেই মনোবাঞ্ছা পূরণে সাহায্য করতে পারি।" রাজা নল খুশি হয়ে রাজ হাঁসটিকে দময়ন্তীর কাছে পাঠালেন।
রাজহাঁসটি দময়ন্তীর মহলে উপস্থিত হয়ে রাজা নলের সুখ্যাতি করেন। পদ্মপাতার উপরে জল দিয়ে রাজার ছবি আঁকলে দময়ন্তী প্রেমে পড়েন। কিছু দিনের মধ্যেই দময়ন্তীর স্বয়ম্বরের ব্যবস্থা হয়। দময়ন্তী মনে মনে ঠিক করে নিয়েছেন তিনি রাজা নলকেই বিবাহ করবেন।
দময়ন্তীর মতো সুন্দরী সারা পৃথিবীতে ছিল না। তাই তাঁর স্বয়ম্বরে যেমন পৃথিবীর বড় বড় রাজাদের কাছে নিমন্ত্রণ গিয়েছিল, তেমনই আমন্ত্রণ গিয়েছিল গন্ধর্ব, দেবতা ও অন্যান্যদের কাছেও। স্বয়ম্বরের দিন দেবরাজ ইন্দ্র, অগ্নিদেব, পবনদেব ও যম চারজনেই অবিকল নলের মতো সেজে স্বয়ম্বরে উপস্থিত হন। অভিসন্ধি? তাঁরাও যে বিবাহ করতে চান দময়ন্তীকে। দময়ন্তী কিভাবে চিনেছিলেন আসল রাজা নলকে?
নল দময়ন্তীর গল্পকে সব সময়ই প্রেমের গল্প বা এক পতিব্রতা নারীর গল্প হিসাবে পরিবেশন করা হয়। কিন্তু এসবের ভিড়ে হারিয়ে যায় দময়ন্তীর অসম্ভব বিচক্ষণতা ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা।
গোয়েন্দা মানেই কি যে খুনি আর চোর ধরে? নাকি গোয়েন্দা মানে এমন একজন যিনি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উপনীত সঠিক সিদ্ধান্তে? সমাধান করেন সমস্যার? তাহলে এমন গোয়েন্দা আছে নাকি মহাভারতে? তাও মহিলা?
এই বুধবার রাত নটায় গল্প হবে। প্রেমের উইকে প্রেমের গল্প তো হবেই। কিন্তু তার মাঝেই পাওয়া যাবে এক মহিলা গোয়েন্দাকে। আজ দ্বিতীয় পর্ব
কণ্ঠ - কৌশিক রায়, সাউন্ড ডিজাইন -শঙ্খ বিশ্বাস , কভার - শুভজিৎ ভড়
পাণ্ডবরা যখন বনপর্বে যখন রাজ্য হারিয়ে বনে বনে ঘুরছেন, তখন এক ঋষি যুধিষ্ঠির ও ভীমকে জানান, পাশা খেলে রাজ্যপাট হারানোর ব্যাপারে তাঁরাই একমাত্র নন। আছেন আরও একজন। এই বলে তিনি রাজা নল ও দময়ন্তীর কাহিনি শুরু করেন। রাজা নল দময়ন্তীর রূপের কথা নারদের কাছে শুনে তাঁর প্রেমে পড়েন। সব সময় তাঁর কথা চিন্তা করতে থাকেন। একদিন তিনি বনে শিকার করতে গিয়ে একটি সোনার রাজহাঁস দেখতে পান। সেটাকে শিকার করার আগেই হাঁসটি রাজাকে বলে, "আমাকে হত্যা করবেন না। আমার পরিবার আছে। বরং আপনি যা চান আমি সেই মনোবাঞ্ছা পূরণে সাহায্য করতে পারি।" রাজা নল খুশি হয়ে রাজ হাঁসটিকে দময়ন্তীর কাছে পাঠালেন।
রাজহাঁসটি দময়ন্তীর মহলে উপস্থিত হয়ে রাজা নলের সুখ্যাতি করেন। পদ্মপাতার উপরে জল দিয়ে রাজার ছবি আঁকলে দময়ন্তী প্রেমে পড়েন। কিছু দিনের মধ্যেই দময়ন্তীর স্বয়ম্বরের ব্যবস্থা হয়। দময়ন্তী মনে মনে ঠিক করে নিয়েছেন তিনি রাজা নলকেই বিবাহ করবেন।
দময়ন্তীর মতো সুন্দরী সারা পৃথিবীতে ছিল না। তাই তাঁর স্বয়ম্বরে যেমন পৃথিবীর বড় বড় রাজাদের কাছে নিমন্ত্রণ গিয়েছিল, তেমনই আমন্ত্রণ গিয়েছিল গন্ধর্ব, দেবতা ও অন্যান্যদের কাছেও। স্বয়ম্বরের দিন দেবরাজ ইন্দ্র, অগ্নিদেব, পবনদেব ও যম চারজনেই অবিকল নলের মতো সেজে স্বয়ম্বরে উপস্থিত হন। অভিসন্ধি? তাঁরাও যে বিবাহ করতে চান দময়ন্তীকে। দময়ন্তী কিভাবে চিনেছিলেন আসল রাজা নলকে?
নল দময়ন্তীর গল্পকে সব সময়ই প্রেমের গল্প বা এক পতিব্রতা নারীর গল্প হিসাবে পরিবেশন করা হয়। কিন্তু এসবের ভিড়ে হারিয়ে যায় দময়ন্তীর অসম্ভব বিচক্ষণতা ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা।
গোয়েন্দা মানেই কি যে খুনি আর চোর ধরে? নাকি গোয়েন্দা মানে এমন একজন যিনি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উপনীত সঠিক সিদ্ধান্তে? সমাধান করেন সমস্যার? তাহলে এমন গোয়েন্দা আছে নাকি মহাভারতে? তাও মহিলা?
এই বুধবার রাত নটায় গল্প হবে। প্রেমের উইকে প্রেমের গল্প তো হবেই। কিন্তু তার মাঝেই পাওয়া যাবে এক মহিলা গোয়েন্দাকে। আজ দ্বিতীয় পর্ব
কণ্ঠ - কৌশিক রায়, সাউন্ড ডিজাইন -শঙ্খ বিশ্বাস , কভার - শুভজিৎ ভড়