
Sign up to save your podcasts
Or


শঙ্খদা হাতের বইটা নামিয়ে রেখে চেয়ারে আরাম করে বসে, “আচ্ছা বলতো পশ্চিমবাংলার রাজধানীর নাম কী?”
“এই নিয়ে পড়াশোনার কী আছে এত? কলকাতা।” আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি।
“আর বাংলাদেশের?”
“ঢাকা” এবারে বল্টু উত্তর দেয়।
“হুম। এবারে ভাব,স্বাধীনতার আগে একটাই বাংলা ছিল তখন তার রাজধানী কী ছিল?”
এবারে বল্টু আর আমি দুজনে দুজনের মুখের দিকে তাকিয়ে হাঁ করে রইলাম। একটা প্রশ্ন বটে। কিন্তু এর উত্তর যে জানা নেই।”
বল্টু বলল, “তুমিই বলো। আমরা শুনি।”
.
.
“একজন রাজপুত সেনানায়ক উড়িষ্যা জয় করে রাজমহলে এসে প্রাসাদ নির্মাণ শুরু করেন। একই সঙ্গে একটি মন্দির নির্মান শুরু করেন। বিহারের তৎকালীন সুবেদার বা শাসক ছিলেন ফতেজঙ্গ খাঁ। তিনি অনেকদিন ধরেই বিদ্রোহের সুযোগ খুঁজছিলেন। তা এই খাঁ মশাই মোগল দরবারে এক্কেবারে মানসিংহের নামেই মামলা করে বসলেন। তিনি লিখে পাঠালেন, মানসিংহের প্ররোচনায় নগরের মাঝে হিন্দু মন্দির তৈরি করে নগরের পবিত্রতা নষ্ট করা হচ্ছে। এই শুনে মানসিংহ পড়লেন সমস্যায়। আকবর হয়তো মানসিংহকে একটু ধমকও দিলেন, ‘একই কথা শুনি হায়/জাত-কুল মান সব যায়!’ মানসিংহ বললেন, ‘মানসিং হেয়ার, নো ফিয়ার!’। তিনি রাতারাতি রাজমহলের নাম বদলে আকবরনগর করে দিলেন আর হিন্দু মন্দিরের স্থানে জুম্মা মসজিদে পরিবর্তন করে দিলেন।”
বল্টু বলে, “মাঝে জাহাঙ্গীরনগর রাজধানী যাওয়ার গল্পটা বলো?”
.
.
স্ক্রিপ্ট-কৌশিক রায়। পর্বপাঠ- শঙ্খবিশ্বাস | সাউন্ড ডিজাইন- শঙ্খ বিশ্বাস।
By Kaushik Royশঙ্খদা হাতের বইটা নামিয়ে রেখে চেয়ারে আরাম করে বসে, “আচ্ছা বলতো পশ্চিমবাংলার রাজধানীর নাম কী?”
“এই নিয়ে পড়াশোনার কী আছে এত? কলকাতা।” আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি।
“আর বাংলাদেশের?”
“ঢাকা” এবারে বল্টু উত্তর দেয়।
“হুম। এবারে ভাব,স্বাধীনতার আগে একটাই বাংলা ছিল তখন তার রাজধানী কী ছিল?”
এবারে বল্টু আর আমি দুজনে দুজনের মুখের দিকে তাকিয়ে হাঁ করে রইলাম। একটা প্রশ্ন বটে। কিন্তু এর উত্তর যে জানা নেই।”
বল্টু বলল, “তুমিই বলো। আমরা শুনি।”
.
.
“একজন রাজপুত সেনানায়ক উড়িষ্যা জয় করে রাজমহলে এসে প্রাসাদ নির্মাণ শুরু করেন। একই সঙ্গে একটি মন্দির নির্মান শুরু করেন। বিহারের তৎকালীন সুবেদার বা শাসক ছিলেন ফতেজঙ্গ খাঁ। তিনি অনেকদিন ধরেই বিদ্রোহের সুযোগ খুঁজছিলেন। তা এই খাঁ মশাই মোগল দরবারে এক্কেবারে মানসিংহের নামেই মামলা করে বসলেন। তিনি লিখে পাঠালেন, মানসিংহের প্ররোচনায় নগরের মাঝে হিন্দু মন্দির তৈরি করে নগরের পবিত্রতা নষ্ট করা হচ্ছে। এই শুনে মানসিংহ পড়লেন সমস্যায়। আকবর হয়তো মানসিংহকে একটু ধমকও দিলেন, ‘একই কথা শুনি হায়/জাত-কুল মান সব যায়!’ মানসিংহ বললেন, ‘মানসিং হেয়ার, নো ফিয়ার!’। তিনি রাতারাতি রাজমহলের নাম বদলে আকবরনগর করে দিলেন আর হিন্দু মন্দিরের স্থানে জুম্মা মসজিদে পরিবর্তন করে দিলেন।”
বল্টু বলে, “মাঝে জাহাঙ্গীরনগর রাজধানী যাওয়ার গল্পটা বলো?”
.
.
স্ক্রিপ্ট-কৌশিক রায়। পর্বপাঠ- শঙ্খবিশ্বাস | সাউন্ড ডিজাইন- শঙ্খ বিশ্বাস।