Share Ami Toke Ki Bolbo
Share to email
Share to Facebook
Share to X
By Believe India Pvt.Ltd
The podcast currently has 6 episodes available.
Hi there! New to Believe India Pvt.Ltd. ? If so, here's what you need to know -- I upload poetry videos on Love, Relationship, Friendship, Motivation etc Every Week, so If you love to watch poetry, Do SUBSCRIBE !
#যদি আমাদের দেখায় না হতো
"যদি"
যদি আমাদের দেখায় না হতো
অন্তত
রাতের অন্ধকারে চোখের পাতা তো
ভিজতো না
❤️যদি আমাদের দেখায় না হতো❤️
Writing- সন্ধ্যা
Voice- সন্ধ্যা
Editing- Fresh Dristy Bangla
❤️
#paromita #paromitar_kobita #paromitapramanick
#বৃদ্ধাশ্রম
কন্ঠে : পার মিতা
লেখা : সংগৃহীত ( লেখক এর নাম কেউ জানলে ,জানবেন )
সময়টা প্রায় পঁচিশ বছর আগের...আমি তখন চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালে কেমোথেরাপি তে কাজ করি...কিছু রোগী কে আমাদের আউটডোর বেসিস এ কেমো দিতে হত...একদিন তাদের মধ্যেই দেখলাম এক মাতৃস্বরূপা ভদ্রমহিলা কে ...নাম- লতিকা চক্রবর্তী...ওনাকে কেমো করার সময় দেখি একপাল লোকজন নিয়ে এগিয়ে এল এক উদ্দাম বোহেমিয়ান টাইপ দাড়িওয়ালা মানুষ ..." ডাক্তারবাবু , উনি আমার মা । মা আমার সবকিছু । মা'কে কেমো দেবার সময় আপনি আমাকে একটু পাশে থাকতে দেবেন ?..আসলে মায়ের খুব কষ্ট হয় এই কেমো নেবার সময় । আমি আপনাকে কোনরকম ডিস্টার্ব করবনা ..
শুধু মায়ের একটা হাত ধরে থাকব আমি ।"
সেই বলাটার মধ্যেই কিছু একটা ছিল । আমি আর না করতে পারিনি । পরম মমতায় সে জড়িয়ে রইল মা'কে । আদরে ভালবাসায় আর্দ্র তার গলা - " এই তো মা ..আমি আছি...এই তো হয়ে এসেছে ..কোন কষ্ট নেই..দেখো ডাক্তারবাবু কি সুন্দর ইঞ্জেকশন দিচ্ছেন...না না আর ব্যথা লাগবেনা " । কেমো শেষ হল । ডাক্তারবাবুর চোখে তখন জল ।
সেই প্রথম আলাপ হল মানুষটির সঙ্গে । নাম জিজ্ঞাসা করলাম । পাশ থেকে কেউ একজন বলল " ওর নাম নচিকেতা চক্রবর্তী । গান গায় । এবার পুজোয় ওর একটা ক্যাসেট বেরিয়েছে কিছুদিন আগে । এই বেশ ভাল আছি - ক্যাসেট টার নাম" ।
বাড়ি ফিরে ক্যাসেট টা শুনলাম । কিছুক্ষণ কথা বলতে পারিনি । এই কন্ঠ!! এই গায়কী !! এই বলিষ্ঠ শব্দচয়ন !! এ গায়ক তো সাধারণ নয় । রীতিমতো শিক্ষিত চর্চিত শিল্পী ।
সেই দিন থেকেই উনি আমার নচি'দা হয়ে উঠলেন আর আমি কখনও পার্থ কখনও ডাক্তার।
কয়েক মাস পর চলে গেলেন মাসিমা । দেখা হল নচিদার সঙ্গে ।...." পার্থ , বুঝলি মা কে সঙ্গে নিয়েই সব জায়গায় যাই এখন, আগে বাড়িতে রেখে এদিক ওদিক যেতে হত, অসুস্থ থাকত , আমার দুশ্চিন্তা হত । এখন মা সবসময় আমার সঙ্গে থাকে রে ...শোন মা কে নিয়ে একটা গান করেছি " .......মাখনের মত মোলায়েম কন্ঠ গেয়ে উঠল - " একা একা পথ চলা / একা একা কথা বলা " ...আবার ভিজল ডাক্তারের চোখ ।
বেশ কয়েক বছর পর একদিন গেছি নচিদার নতুন ফ্ল্যাট এ । বেশ বড় আর সুন্দর আধুনিক ফ্ল্যাট । আড্ডা চলছে । গান হচ্ছে । হঠাৎ চোখে পড়ল হলঘরের আধুনিক আসবাব সোফা টোফার মাঝখানে বেশ বেমানান একটা পুরোন দিনের সাদাকালো টিভি । পিছনে লাগলাম একটু ...." নচিদা, তোমার এত পয়সা !!! একটা কালার টিভি কেনোনি ?"
হাসল খানিকটা । তারপর বলল ..." পার্থ এই টিভি টা আমার মা কিনেছিল রে , কষ্ট করে , ইনস্টলমেন্টে .....আমি এই টিভি টাই দেখি , খারাপ হলে সারাই করে নিই , কিন্তু এটা আমি ফেলতে পারিনি রে "
গলার কাছে একটা কষ্ট আটকে রইল আমার। বাসে ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম - হ্যাঁ এই মানুষটা, খালি এই মানুষ টাই পারে " বৃদ্ধাশ্রম" এর মত একটা গান লিখতে ...একমাত্র এরই ক্ষমতা , এরই অধিকার ওই গানে....মা'কে ওই অতটা না ভালবাসলে ওই লেখা কলম দিয়ে বেরোয় না , বেরোতে পারেনা । গানটার শেষ ছত্রে তাই উগরে দিয়েছেন সমগ্র বিশ্বাসঘাতক অপদার্থ সন্তান দের প্রতি রাগ, বিদ্বেষ আর প্রতিশোধস্পৃহা - " আশ্রমের এই ঘরটা ছোট , জায়গা অনেক বেশি / খোকা আমি দুজনেতে থাকব পাশাপাশি / সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভীষণ রকম/ মুখোমুখি আমি, খোকা, আর বৃদ্ধাশ্রম "
( Collection.)
#paromita #paromitar_kobita
মা, নীলা, তোমাদের দুইজনের থেকে কোন একজন কে বেছে নেওয়ার অধিকার আমার নেই, সে অধিকার আমি হারিয়ে ফেলেছি। কিভাবে তা বলছি। এখন সে অধিকার তোমাদের কে আমায় বেছে নিবে? তার আগে আমার কিছু কথা আছে।
মা প্রথমে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তুমি ঘরে একটা মেয়ে চেয়েছিলে। কিন্তু তাকে ঘরের বউ থেকে মেয়ে বানিয়ে তোমায় দিতে পারলাম না।
আমি নীলাকে সাহায্য করে নি তোমায় বুঝার জন্য। আমি ওকে বলি নি, তুমি যখন বলো সন্ধ্যায় চুল খোলা রেখো না, তুমি ওকে খোটা নয়, তুমি ওকে শেখাচ্ছো।
আমি ওকে বুঝায় নি, মা তুমি চেষ্টা করেছিলে কিন্তু, বাবা কোন কাজে তোমায় সাহায্য করে নি। আমি তোমার সাত রাজার ধন তাই তুমি এসব আমায় করাও নি। এইটা আমাদের নিয়ম। তার মানে এই না যে বাবা কখনো তার দায়িত্ব অবহেলা করেছে।
তুমি যখন সেদিন নীলা বড় মাছের পিস টা নিয়েছিল তখন তুমি বললে পলাশ বড় মাছের পিস টা খায়। নীলা আবার রাখতে গেলে বলেছিলে, খাও খাও, এটো হাতে আর রেখো না৷ সেদিন নীলার কান্নাটা বুঝে আমি ওকে বুঝাই নি তুমি কত বার আমায় মেরেছিলে এটো হাতে কিছু রাখতে গেলে।
সারাদিন শেষে বাসায় এলে তখন যে তুমিই ছিলে আমার সকল কথার ঝুরি, সব ছিলো তোমার জানা। আমিই ছিলাম তোমার একমাত্র জানালা৷ সরি মা। আমি তা করি নি।
নীলা আমি তোমার কাছে অপরাধী। তুমি আমায় ক্ষমা করো কারণ আমি তোমার প্রথমে ছোট ছোট মন খারাপ গুলো শুনি নি। শিখিয়ে দিই নি, কিভাবে তোমাকে আর এইসব কথা শুনতে হবে না। কি করলে মা উচ্চস্বরে হেসে উঠে। কোন খাবার টা খেয়ে বাবা পুরানোর কথার বাক্স খুলে। তোমার ছোট ছোট ভুল গুলো অপরাধ হওয়ার আগে নিজের বলে তোমাকে বাঁচিয়ে দিই নি।
আমি তোমার আর মায়ের সর্ম্পক টা কখনো স্বাভাবিক করার চেষ্টা করি নি। যেখানে তোমার খারাপ লাগলে তুমি মাকে বলতে পারো নি, - মা আমার শরীর টা খারাপ লাগছে, আপনি এইটা করেন তো প্লিজ৷
কি সহজ ব্যাপারটা তোমাদের মনের দূরত্ব এত জটিল করে তুলেছে যে, সেদিনের আকাশের থালা ধোয়াতে মায়ের চিৎকার করাটা কত স্বাভাবিক ছিলো আর তোমার চুপ থেকে আবার তা করতে থাকার নীরবতায় কত রাগ অভিমানের গভীরতা ছিলো আমি বুঝতেই পারি নি।
তাই আমি তোমাদের অপরাধী।
এখন মা তুমি যদি বলো আমি তোর জন্য সব বির্সজন দিয়ে এত বড় করেছি, তুই বউ ছেড়ে দেয়, আমি ছেড়ে দিবো মা। কিন্তু আমাকে তুমি আর সংসারী করতে পারবে না। কারণ তোমার পছন্দের সর্বগুনে সম্পন্ন মেয়ে যখন এই সংসার ছাড়তে হবে তখন আমি আবার কোন সর্বগুন সম্পন্ন নীলা এনে অর্কম্মা বানাতে পারবো না। আমাকে দিয়ে হবে না।
নীলা তুমি যদি বলো তুমি আমার বিয়ে করা বউ। আমাদের বাচ্চা আছে। তোমার আইনি অধিকার আছে আমার উপর। আমাকে তোমার সাথে যেতে হবে। আমি বাধ্য। কিন্তু আমার কাছ থেকে তুমি কোন দায়িত্বের আশা রাখতে পারবে না। কারণ যে ছেলে মা বাবা একা ফেলে যাবে তার কাছে তুমি কোন মূল্যবোধ আশা রাখতে পারো না।
এখন তোমরা বলো আমাকে কিভাবে ভাগ করতে চাও? আমার মুখের হাসি বুকের শান্তি টা নীলার সাথে বিদায় করে আমায় রাখতে চাও? নাকি নীলা আমায় সারাজীবনের আত্মগ্লানি নিয়ে মাথা নুয়ে জীবন্ত মূর্তি বানিয়ে নিয়ে যেতে চাও।
কেন আমাকে বলা হচ্ছে মা নাকি বউ? কেন মা আর বউয়ের মাঝে অপশন থাকবে? যখন মা আর বউ ছাড়া অপূর্ণ সব। কেন ওদের মাঝে, নাকি, শব্দ টা আসবে? তোমরা বলো কিভাবে ভাগ করবো এই ভগ্নাংশ?
একটানা কথা গুলো বলে আমি ক্লান্ত হয়ে গেলাম। অনেক ক্ষন নীরবতা। সবার চোখে জল গড়িয়ে একাকার। কোথায় যেন সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলেছে ধুপের সুভাস আসছে। কিছুক্ষন পর মা গলা খেকিয়ে বলল-
-তোমার মামা চলে যাবে তো, একটু আদা চা কর আর ময়দা বেলে কিছু লুচি বানাও। পারবে তো?
নীলা চোখের পানি মুছতে মুছতে হেসে বলল- - এখন করে আনছি মা,
উড়ন্ত বেলুন কে হঠাৎ ফুটো করে দিলে যেমন টা করে ফুস করে মাটিতে পড়বে, আমি তেমন করে বসে পড়লাম মায়ের পায়ের কাছে। মায়ের কোলে মাথা রেখে এতক্ষনে টালমাতাল শরীরটা সামলাচ্ছি। মা চুলে হাত বুলিয়ে বলছে, যা অফিসের কাপড় ছেড়ে আয়।
আমি রান্না ঘরে গেলাম। নীলা লুচি বেলছে। আমি গিয়ে ঝাপটে ধরলাম ওকে বুকে। কারো মুখে কথা নেই। কিন্তু আমার বুক টা, যেন গরম কোন তাওয়ায় এক টুকরো বরফ ছাড়লো কেউ, ছেত ছেত আওয়াজ করে গলে যাচ্ছে সবটা। আর একটু পরে সব গলে পানি হয়ে গেল সব জমানো কষ্ট গুলো। এখন যেন অনেক দিনের অব্যবহৃত পুকুরের শান্ত জল কোন।
বিয়ে কি সবার জীবনে জরুরি??
কলমে : দোলনা তৃষা বড়ুয়া
কন্ঠে : পার মিতা
আমি ছেড়ে দিবো তাদের নিজের মতো করে বাঁচতে। এই যে ভগবান আছে বলিস। তিনি চাইলে হবে সন্তান। না দিলে কাকে দোষ দিবো বল? তাছাড়া কত ছোট বয়সে বিয়ে হওয়া পর ও অনেক মেয়েদের তো বেবি হয় না। এতে কার দোষ বল। আমি বলছি না অন্যরা বিয়ে করবে না। করুক না। আমাকে থাকতে দেই না রে ঠিক আমার মতো। অনেক কিছু পাওয়ার আছে স্বামীর শাড়ি গয়না ছাড়াও।
বিশ বছরে বিয়ে করে চল্লিস না পেরোতেই, মেয়ের বিয়ে দিয়ে মা মেয়ে দেখতে একই রকমের শরীর বানিয়ে পান চিবিয়ে চিবিয়ে শশুড় বাড়ির ঢালা খুলে বসা আমাকে দিয়ে জাস্ট হবে না রে। চল্লিস না পেরোতেই ছেলের বৌ দের সাথে সংসার সংসার খেলে, নিজের অপ্রাপ্তি তাদের ইচ্ছের পথে দাঁড় করিয়ে সত্যিই আমি সার্থক মা হতে কখনো চাইবো না। কখনোই না।
যার সাথে জীবন কাটাবো সে প্রতিদিনের কাজ সেরে পাশ ফিরে বালিশ জড়িয়ে ঘুমাবে। আমার মনের খোঁজ ও নেবে না। আমাকে সম্মান করবে না। আমার মূল্যায়ন করবে না।এমন জীবন সঙ্গি চাই না রে।
এমন জীবন সঙ্গী পেয়ে তোরা কতটা ভালো আছিস বল তো আমাকে? নিয়েছে কোনদিন মনের খবর। দিয়েছে মূল্যায়ন? নাকি তুমি কি বুঝবে ওসবের এতেই থামিয়ে দিয়েছে?।
আমাকে সম্মান করবে, বিয়ে করে অধিকার গত বউ নয়, সমান অংশীদারের মতো মূল্যায়ন করবে এমন কাউকে খুঁজে না পেলে থাকি না আরো দশ বছর অবিবাহিত। কি হবে তাতে?
জানিস দশ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। রাস্তা দিয়ে যখন হেটে যাই, তখন আমার চেয়ে মাথা উচু কত ছেলে মেয়ে সম্মানে মাথা ঝুকিয়ে নেয়। এইটা পাওয়া যে কত সম্মানের তা কি করে বুঝবি। এত কম বয়েসী স্কুলের সেরা শিক্ষিকা হওয়া আমার কাছে অর্জন। তোদের কাছে যেটা সংখ্যা, বিশ্বাস কর আমার কাছে ওটাই আমার অর্জন। বিশ্বাস কর আমি সত্যিই ভালো থাকার মতোই ভালো আছি। কোন আক্ষেপ নেই আমার। তোরাও প্লিজ বিশ্বাস করে নেয় না, আমি বেশ ভালোই আছি। আমার হাসিটা আমার ভাল থাকার স্বাধীনতা।
কলমে : শ্রীজাত
কন্ঠে: পারমিতা
The podcast currently has 6 episodes available.