কীভাবে বাংলার অক্সফোর্ড নবদ্বীপের এক বিস্মৃতপ্রায় মহাপণ্ডিত কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ হয়ে উঠলেন বিভিন্ন কালখণ্ডে ধৃত এই সমগ্র কাহিনিমঞ্জরীটির একমাত্র তন্ত্রধারক?
আসুন পাঠক, প্রবেশ করি সেই গহিন অরণ্যে, শুধু মনে রাখবেন একটি মাত্র মন্ত্র, ভালোবাসাই হল সবচেয়ে বড় তন্ত্র, সবচেয়ে বড় যাদু। মায়ারানি হালদারের বংশে হাজার বছর ধরে পূজিত হয়ে এসেছে একটি অভিশপ্ত পাথুরে ফলক। কিন্তু কেন? হাজার বছর আগে কী ঘটেছিল সোমপুরা মহাবিহারের গর্ভগৃহে? এক জটা দেবীর নামে কাকে অভিশাপ দিলেন মহাস্থবির রত্নাকরশান্তি? টেনিয়া কি পারবে বালুরঘাটের তিনটি মেয়েকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে এনে দালালদের কাছে বিক্রি করে দিতে? মেখলা-কনখলার কাহিনিটাই বা কী? কী হবে অসহায় মেয়ে তিনটির? বৌদ্ধসন্ন্যাসী রত্নাকর শান্তি তন্ত্রসাধনায় পারদর্শী হয়েও নরবলি বা জীববলির সম্পূর্ন বিপক্ষে ছিলেন। টেনিয়ার পূর্ব পুরুষ বজ্রকেতু তাঁর শিষ্য হওয়া সত্ত্বেও নরবলির পক্ষে ছিলেন। এই মতবিরোধে রত্নাকরশান্তি বজ্রকেতুকে এক অভিশাপ দেন। যা একহাজার বছর ধরে বজ্রকেতুর বংশ বহন করে চলে। এই অভিশাপের সমাপ্তি ঘটে টেনিয়াকে দিয়ে।